কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজ বেশি লাভজনক? জেনে রাখুন ভবিষ্যতে কাজে আসবে।




কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজ বেশি লাভজনক

বর্তমান যত দিন যাচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং পেশা ততবেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আমাদের দেশ থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে বহু মানুষ প্রতি বছর হাজার হাজার ডলার আয় করছে। অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকরা এখন চাকুরির পেছনে না গুরে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় ঝুঁকছে। তবে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় যাওয়ার আগে আপনাকে কোন একটি বা একাধিক কাজে দক্ষতা অর্জন করতে হবে, নয়ত শুরুতেই মুখ থুবরে পড়তে পারেন, তখন ফ্রিল্যান্সিং করার ইচ্ছাটাই হারিয়ে যাবে। এরকম অনেকেই কাজ না শিখে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় প্রবেশ করে পরবর্তীতে কাজ না পেয়ে হতাশায় এই সেক্টর থেকে ছিটকে পরেছে। তাই ফ্রিল্যান্সিং এ যাওয়ার আগে আমরা প্রথমেই ভালোভাবে কাজ শিখে তারপর এই জগৎ প্রবেশ করবো।

আমি আজকের পোস্টে জানাবো ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজগুলো বেশি ডিমান্ডেবল এবং বেশি আয় করা সম্ভব। আজকের পোস্টের দ্বারা নির্ধারণ করতে পারবেন ভবিষ্যৎ এ আপনি কি কাজ শিখে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।

চলুন শুরু করি....

১. কপিরাইটিং


আপনি যদি খুব বেশি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন এবং এই কাজে এক্সপার্ট হোন তাহলে কপিরাইটিং কাজ আপনার জন্য খুব ভালো একটি কাজ। বাংলাদেশের অনেক মানুষ কপিরাইটিং কাজ করে মাসে শত শত ডলার ইনকাম করছে। সাধারণত কপিরাইটিং বিজ্ঞাপন ওয়েবসাইটের আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ করা হয়। কপিরাইটিং এর কাজ করলে প্রতি এক হাজার ওয়ার্ডে ১৮-১০০ ডলার পর্যন্ত পাওয়া যায় তবে এটি স্থান বেধে কম বেশি হতে পারে।

আপনি যদি বেশি এক্সপার্ট হোন এর থেকে বেশিও ইনকাম করতে পারবেন।

২. ওয়েব ডিজাইনিংঃ

ওয়েব ডিজাইন প্রতিটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে একটি জনপ্রিয় কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে ওয়েব ডিজাইন চাহিদা অনেক বেশি থাকে। ওয়েব ডিজাইন সাধারণত আপনাকে একটি ওয়েবপেজ ডিজাইন করতে হবে, এর মাধ্যমে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন সেটার পরিপূর্ণ ডিজাইন করতে পারবেন। এটি আপনাকে ক্লাইন্টের চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করে দিতে হবে। এর জন্য আপনাকে বিভিন্ন কোডিং শিখতে হবে। ওয়েব ডিজাইনিং কাজের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ডিজাইনের উপর নির্ভর করে পেমেন্ট করা হয়। তবে একটি সাধারন ডিজাইনের ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ৩০ ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট করা হয় । ওয়েব ডিজাইনের ক্ষেত্রে অবশ্যই তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী হতে হবে। আপনি যদি দুর্বল মেধার অধিকারী থাকেন তাহলে এই কাজটি আপনার জন্য না। কারণ ওয়েব ডিজাইনের অনেক কোড মুখস্ত রাখতে হয়। যে যত বেশি কোড মুখস্ত রাখতে পারবে সে ততো বেশি চাহিদা সম্পন্ন ওয়েব ডিজাইন বানাতে পারবে।

৩. ডিজিটাল মার্কেটিং

ওয়েব ডিজাইনের মতই ডিজিটাল মার্কেটিংও প্রতিটি ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মেই বেশ জনপ্রিয়। তবে ওয়েব ডিজাইনের মত ডিজিটাল মার্কেটিং কাজটা এতটা কঠিন না। তবে আবার এতটা সহজও না। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে বিভিন্ন টেকনিক অবলম্বন করে পণ্যের প্রচার করতে হবে।ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কাজের উপর নির্ভর করে পেমেন্ট দেওয়া হয় একটি সাধারণ কাজের জন্য ১৫ থেকে ৪৫ ডলার পর্যন্ত দেওয়া হয়। দিন যত যাচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা তত বাড়ছে। মানুষের ব্যবসায়িক পণ্য এখন ঘরে বসেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিক্রি করতে পারছে আবার ক্রয়ও করতে পারছে। তাই ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের কাছেই ডিজিটাল মার্কেটিং আশীর্বাদ হিসেবে ধরা দিয়েছে।

৪. ওয়েব ডেভলপমেন্ট

ওয়েব ডেভলপমেন্টের ক্ষেত্রেও ওয়েব ডিজাইনের মত অনেকগুলো কোড আপনাকে মুখস্ত করতে হবে। শর্টকাট টেকনিক রয়েছে তবুও আপনাকে মোটামুটি অনেকগুলো কোড মুখস্ত করতে হবে। ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর ক্ষেত্রেও আপনার কাজের উপর নির্ভর করে পেমেন্ট করা হয় তবে একটি সাধারণ ওয়েব ডিজাইনের ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ৩০ ডলার উপরে পেমেন্ট করা হয়। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে এই কাজটি চাহিদা অনেক বেশি

৫. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টঃ

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে একজন ভাইয়ার হায়ার করবে এবং তার সম্পূর্ণ অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজগুলো আপনাকে দিবে ডাটা এনটি, ক্যালেন্ডার অর্গানাইজেশন, কমিউনিকেশন ইত্যাদির মত কাজগুলো এখানে করতে হবে। অনেক সময় আপনি যদি আপনার স্কিলস এর মধ্যে ট্রান্সলেটর অপশনটিও রাখেন সেক্ষেত্রে একটা কাজের জন্য আপনাকে আলাদাভাবে পেমেন্ট করবে। সাধারণত এই ধরনের কাজের ক্ষেত্রে ঘন্টা হিসেবে পেমেন্ট করা হয় তবে কিছু কিছু ভাইয়ার আপনাকে কিছুদিন বা কিছু সময়ের জন্য হায়ার করবে। এই ধরনের কাজের ক্ষেত্রে প্রতি ঘন্টায় 15 থেকে 50 ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট করা হয়। তবে সেটা কাজের স্কিল অনুযায়ী ।

প্রায় সকল ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে এই কাজটির জনপ্রিয়তা রয়েছে ক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ব্যানার লোগো ইত্যাদির মত ডিজাইন করতে হবে আপনার ডিজাইন এবং কাজের উপর নির্ভর করে গ্রাফিক্স ডিজাইনে আপনাকে পেমেন্ট করবে তবে সাধারণত গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে পাঁচ ডলার থেকে 100 ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট করে তবে আপনাকে যদি অনেক ভারী কাজ দেওয়া হয় পেমেন্টের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে এছাড়া বিভিন্ন ধরনের এক্সট্রা কাজের ক্ষেত্রে আলাদা পেমেন্ট করবে।

বন্ধুরা আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমি ফ্রিল্যান্সিং জগতের কিছু ডিমান্ডেবল কাজ নিয়ে আলোচনা করেছি জগতে এছাড়া আরো অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো খুবই ডিমান্ডটেবল তাহলে আমি ধাপে ধাপে সেগুলো আলোচনা করতে পারি পোস্টে এতগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা অসম্ভব।

ইনশাআল্লাহ আগামী পোস্টে আলোচনা করবো কিভাবে মোবাইল দিয়ে একটি বিশ্বস্ত প্লাটফর্মে কাজ করে ডেলি ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করবেন। বর্তমান আমিও সেখান কাজ করে ইনকাম করছি ইনশাআল্লাহ আপনারও পারবেন খুবি সহজ কাজ।




Post a Comment

0 Comments