বায়তুল মামুর জামে মসজিদে ইমাম ও খতিব নিয়োগ দেওয়া হবে।
আলহামদুলিল্লাহ। ইসলামের প্রাণ হচ্ছে মসজিদ, আর মসজিদের প্রাণ হচ্ছে একজন যোগ্য ইমাম ও খতীব। একজন ইমাম যেমন নামাজের ইমামতি করেন, ঠিক তেমনি একজন খতীব সমাজের দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করেন। সময়োপযোগী আলোচনা, কুরআন-হাদীসের ব্যাখ্যা ও ইসলামের বিধান তুলে ধরার মাধ্যমে একজন খতীব পুরো মুসলিম সমাজকে আলোর পথে পরিচালনা করতে সক্ষম হন।
এই পবিত্র দায়িত্ব পালন করার সুযোগ দিচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫ নম্বর ঘাটে অবস্থিত ঐতিহাসিক “বায়তুল মামুর জামে মসজিদ”। বর্তমানে মসজিদের ইমাম সাহেব বিদেশে চলে যাচ্ছেন, এজন্য জরুরিভিত্তিতে একজন যোগ্য, দ্বীনদার ও অভিজ্ঞ ইমাম ও খতীব নিয়োগ করা হবে ইনশাআল্লাহ।
🕌 মসজিদের পরিচিতিঃ
“বায়তুল মামুর জামে মসজিদ” নারায়ণগঞ্জ শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি বহুল পরিচিত জামে মসজিদ। এখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমার খুতবা, ইসলামী আলোচনা এবং বিভিন্ন দাওয়াহ কার্যক্রম নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মুসল্লিগণ যথেষ্ট সচেতন, নামাজপ্রিয় এবং ইসলামি সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
এই মসজিদে ইমাম ও খতীব হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার মানে শুধু একটি চাকরি নয়, বরং এটি হবে দ্বীনী খেদমতের একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিতে পারবেন।
✅ নিয়োগ সংক্রান্ত মূল তথ্যঃ
পদের নাম: ইমাম ও খতীব
মসজিদের নাম: বায়তুল মামুর জামে মসজিদ
অবস্থান: পাঁচ নং ঘাট, নারায়ণগঞ্জ
নিয়োগের কারণ: বর্তমান ইমাম সাহেব বিদেশ গমণ করছেন
নিয়োগ প্রক্রিয়া: বায়োডাটা ও তিলাওয়াত অডিও জমা দিয়ে নির্বাচিত প্রার্থীদের সরাসরি ইন্টারভিউয়ে অংশগ্রহণ
ইন্টারভিউয়ের তারিখ: ১৭/০৬/২০২৫
সিভি জমা দেওয়ার শেষ সময়: ১২/০৬/২০২৫
WhatsApp নাম্বার (শুধুমাত্র মেসেজ): 01784153553
🧠 প্রার্থীর যোগ্যতঃ
আমরা এমন একজন আলেম খুঁজছি যিনি শুধু নামাজ পরিচালনায় পারদর্শী নন, বরং ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে সমাজের নানা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিতে সক্ষম হবেন। নিচে বিস্তারিত যোগ্যতাসমূহ তুলে ধরা হলো:
১. ইসলামি শিক্ষাগত যোগ্যতা:
প্রার্থীকে অবশ্যই দ্বীনি শিক্ষায় সুদক্ষ হতে হবে।
হাফেয,মাওলানা, মুফতি—এমন ডিগ্রিধারী হলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
কোনো স্বীকৃত মাদরাসা থেকে সনদপ্রাপ্ত হতে হবে।
২. তারাবী পড়ানোর যোগ্যতা:
মাহে রমজানে ২০ রাকাত তারাবীহ সুন্দরভাবে পড়াতে সক্ষম হতে হবে।
সহীহ তাজউইদে কুরআন তিলাওয়াত আবশ্যক।
৩. বয়স ও পারিবারিক অবস্থা:
সর্বনিম্ন বয়স ৩০ বছর হতে হবে।
বিবাহিত হতে হবে, যাতে একজন পরিপূর্ণ ও ভারসাম্যপূর্ণ দায়িত্বশীল ইমাম হিসেবে কাজ করতে পারেন।
৪. অভিজ্ঞতা:
ইমাম ও খতীব হিসেবে কমপক্ষে ২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
তবে যারা খুবই যোগ্য, তাদের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা শিথিলযোগ্য।
৫. বক্তব্য প্রদানের সক্ষমতা:
জুমার খুতবা ও অন্যান্য মাহফিল বা আলোচনায় সময়োপযোগী, প্রাঞ্জল ও প্রভাবশালী বক্তব্য প্রদানের ক্ষমতা থাকতে হবে।
কুরআন-হাদীসের আলোকে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান ব্যাখ্যা করার সক্ষমতা থাকতে হবে।
💼 চাকরির শর্ত ও সুবিধাসমূহ:
আমরা সম্মানজনক পারিশ্রমিকের পাশাপাশি বাস্তবসম্মত সুবিধা প্রদান করছি, যেন ইমাম সাহেব নির্বিঘ্নে দ্বীনী খেদমত চালিয়ে যেতে পারেন।
💰বেতন ও ভাতা:
মাসিক বেতন: ১৭,০০০/- টাকা
বিশেষ যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেতন বাড়ানো হতে পারে।
প্রতিমাসে ৭ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধ করা হবে।
🗓️ ছুটি ও সময়:
মাসিক ৪ দিনের ছুটি দেওয়া হবে।
ইমাম সাহেব চাইলে ছুটির দিনগুলোতে টিউশনি বা অন্য হালাল কাজ করতে পারবেন।
🛏️ আবাসন:
ইমাম সাহেবের জন্য আলাদা থাকার রুম প্রদান করা হবে।
🍛 খাবার ব্যবস্থা:
যেহেতু এটি আবাসিক মসজিদ নয়, তাই খাবারের ব্যবস্থা নিজ দায়িত্বে করতে হবে।
📲 আবেদন প্রক্রিয়া:
আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীগণকে নিচের নিয়ম অনুসরণ করে আবেদন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে:
১. নিজের পূর্ণাঙ্গ বায়োডাটা তৈরি করুন (নাম, জন্মতারিখ, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, বৈবাহিক অবস্থা, মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি উল্লেখসহ)।
২. একটি সহীহ কুরআন তিলাওয়াতের অডিও রেকর্ডিং তৈরি করুন (মোবাইল দিয়েই রেকর্ড করলেই চলবে)।
৩. উপরোক্ত তথ্যসমূহ WhatsApp নম্বরে (01784153553) পাঠিয়ে দিন। ❗ অনুগ্রহ করে কেউ কল করবেন না। আমরা নির্বাচিত প্রার্থীদের সাথেই যোগাযোগ করবো ইনশাআল্লাহ।
📅 গুরুত্বপূর্ণ তারিখসমূহ:
সিভি ও অডিও পাঠানোর শেষ সময়: ১২ জুন ২০২৫
সরাসরি সাক্ষাৎকার: ১৭ জুন ২০২৫
সাক্ষাৎকারের স্থান ও সময়: নির্বাচিত প্রার্থীদের জানানো হবে
📢 কেন আপনি আবেদন করবেন?
এই প্রশ্ন অনেকেই করেন—“আমি কেন এই পদে আবেদন করবো?” তাদের জন্য বলছি:
এটি শুধুমাত্র একটি চাকরি নয়, বরং একটি দ্বীনি খেদমতের সুযোগ।
আপনি যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইসলাম প্রচারে আগ্রহী হন, এটি আপনার জন্য আদর্শ প্ল্যাটফর্ম।
এখানে সম্মান, সুযোগ ও দ্বীনি পরিবেশ—সবকিছুই রয়েছে।
🕋 ইমামের গুরুত্ব ইসলামি
দৃষ্টিকোণ থেকে:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “ইমাম হলো যিনি মুসল্লিদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার সঠিক ক্বিরাত, সঠিক নিয়ত ও দায়িত্বশীলতাই একটি জামাতের মূল ভিত্তি।” (সহীহ বুখারী)
একজন ইমাম সমাজের নেতা। তিনি কেবল নামাজ পরিচালনা করেন না, বরং সমাজের অসংখ্য মানুষ তার জীবনচর্চা অনুসরণ করে। তাই এই পদে একজন দ্বীনদার, চিন্তাশীল ও সমাজ সচেতন আলেম প্রয়োজন।
🔚 উপসংহার:
প্রিয় আলেমগণ, আপনি যদি মনে করেন আপনি এই দায়িত্ব পালনে উপযুক্ত এবং ইসলামের খেদমতে নিজেকে উৎসর্গ করতে প্রস্তুত, তবে আজই আবেদন করুন। সময় সীমিত, তাই দেরি না করে এখনই আপনার বায়োডাটা ও তিলাওয়াত রেকর্ড পাঠিয়ে দিন।
0 Comments